পটুয়াখালীতে ২০০০ টাকার চোর সন্দেহে শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পেটালেন মাদ্রাসার শিক্ষক

পটুয়াখালীতে  ২০০০ টাকার চোর সন্দেহে শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পেটালেন মাদ্রাসার শিক্ষক

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী হেতালিয়া বাধঘাট বাইতুল আহাদ হাফেজিয়া মাদরাসায় এক শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে মুখে কসটেপ পেচিয়ে লাঠি ও রড দিয়ে পেটানো ঘটনা ঘটেছে।

 
জানা গেছে, গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের ২০০০ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আনুমানিক সকাল ৭:৪৫ ঘটিকার সময়  মাদ্রাসায় পড়ুয়া  শিক্ষার্থী মোঃসুমন হোসেন(১২)  পিতাঃ রহিম চকিদার সং পশ্চিম শারিকখালী থানা জেলা পটুয়াখালী কে  চোর সন্দেহে হাত পা বেঁধে মুখে কস্টিপ লাগিয়ে  দীর্ঘ ০১ ঘন্টা যাবত বেধর নির্মমভাবে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হাত,পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিটিয়ে থেতলে ফেলে,কিন্তু মুখে কস্টিপ থাকার কারণে জোরে চিৎকার করতে পারেনি।
 
এক পর্যায়ে এমন  অবস্থান দেখে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী স্থানীয় মানুষকে জানায় পরে তারা দ্রুত ভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয় লোকজনরা দ্রুত ভাবে ছেলেটিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হসপিটালে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পটুয়াখালী হেতালিয়া বাধঘাট বাইতুল আহাদ হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আহসান উল্লাহ (৩৮) পিতা সেকান্দার আলী মাওলানা সং আউলিয়াপুর ৩ নং ওয়ার্ড থানা জেলা পটুয়াখালী গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
 
স্থানীয় জনগণ জানায়, এমন নির্মম অত্যাচারের বিচার চায় তারা, পাষানের মত পশুর মত চোর সন্দেহে রড দিয়ে পিটান হলো কেন এর জবাব চাই তারা, তাকে এমন বিচারের আওতায় আনা হোক।
 যাতে করে আর কোন দিন কোন মায়ের সন্তান কে এমন নির্মম অত্যাচার যেন না করতে পারে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
 
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মোঃ আহসান উল্লাহ কে শিশুর (সংশোধন) আইন ১৮ এর ৭০ হেফাজতে থাকা শিশুকে আঘাত প্রদানের অপরাধে আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।